মাদক কে না বলুন

মাদক কে না বলুন

বর্তমান সময়ে মাদকাসক্তি একটি বড় সামাজিক ও স্বাস্থ্য সমস্যা। মাদক গ্রহণের কারণে ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজে নানা বিরূপ প্রভাব পড়ে। তবে আশার কথা— আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা ও AMC-র মতো বিশেষায়িত কেন্দ্রগুলোর কারণে এখন মাদকাসক্তি থেকে মুক্তি পাওয়া আগের চেয়ে সহজ ও কার্যকর হয়েছে।

AMC— অর্থাৎ Addiction Management Center— এমন একটি প্রতিষ্ঠান, যেখানে মাদকাসক্তদের চিকিৎসা, পুনর্বাসন ও মানসিক সহায়তা দেওয়া হয়। আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় প্রথমেই রোগীর শারীরিক ও মানসিক অবস্থার নিরীক্ষা করা হয়। এরপর, রোগীকে ডিটক্সিফিকেশন বা দেহ থেকে মাদক পদার্থ অপসারণ করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এটি সাধারণত ৭-১৪ দিন পর্যন্ত চলতে পারে এবং পর্যাপ্ত চিকিৎসক তত্ত্বাবধানে সম্পন্ন করা হয়, যাতে কোনো শারীরিক সমস্যা হলে দ্রুত সমাধান করা যায়।

ডিটক্সিফিকেশন পর্ব শেষ হলে রোগীকে কাউন্সেলিং ও মনো-সামাজিক সহায়তা দেওয়া হয়। এই পর্যায়ে রোগীর মাদকাসক্তির কারণ, মানসিক চাপ বা ব্যক্তিগত সমস্যা শনাক্ত করে তার সমাধানের চেষ্টা করা হয়। এখানে পরিবারের সদস্যদেরও সচেতন করা হয়, যাতে তারা রোগীকে সঠিকভাবে সহায়তা করতে পারেন।

AMC-তে সাধারণত দক্ষ মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, চিকিৎসক, কাউন্সেলর ও নার্সদের সমন্বয়ে একটি টিম কাজ করেন। তারা নিয়মিত থেরাপি, গ্রুপ কাউন্সেলিং, আচরণগত চিকিৎসা এবং প্রয়োজনে ওষুধের মাধ্যমে রোগীকে মাদকমুক্ত রাখার চেষ্টা করেন। অনেক AMC-তে ১২-ধাপ ভিত্তিক প্রোগ্রাম, যোগব্যায়াম ও কর্মশালাও পরিচালিত হয়, যা রোগীকে আত্মবিশ্বাসী ও সুস্থ জীবনধারায় ফিরিয়ে আনতে সহায়ক।

এছাড়া, চিকিৎসা শেষে রোগী যাতে আবার মাদকের দিকে না ঝুঁকে, তার জন্য ফলো-আপ কাউন্সেলিং ও পরামর্শ দেওয়া হয়।

Related Post

মাদকাসক্তির চিকিৎসার মূল উদ্দেশ্য ও পদ্ধতি
মাদক কে না বলুন
মাদকাসক্তির প্রভাব
মাদকাসক্ত নিয়ে একটি ছোট গল্প দিলাম, সাথে আমি একটি প্রতীকী .
মাদক সেবনকারী একজন ব্যক্তির জীবন কেমন হতে পারে।
আপনার আপনজন মাদকাসক্ত কি না কিভাবে বুজবেন?