১. পেশাদার চিকিৎসা সহায়তা নেওয়া
- মাদকাসক্তি একটি চিকিৎসাযোগ্য রোগ। মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, কাউন্সেলর বা রিহ্যাব সেন্টারে যোগাযোগ করা জরুরি।
- প্রয়োজন হলে ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয় (যেমন: ওপিয়ড আসক্তদের জন্য মেথাডোন, বুপ্রেনরফিন ইত্যাদি)।
২. পরিবারের সহানুভূতিশীল ভূমিকা
- পরিবার বা কাছের মানুষদের ভালোবাসা, সমর্থন ও ধৈর্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।
- দোষারোপ নয়, বরং সহানুভূতির সঙ্গে সহযোগিতা করা প্রয়োজন।
৩. রিহ্যাবিলিটেশন বা পুনর্বাসন প্রোগ্রাম
- অনেক সময় ডিটক্সিফিকেশন (দেহ থেকে মাদক দূর করা) ও পরে কাউন্সেলিং দরকার হয়।
- বাংলাদেশে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি রিহ্যাব সেন্টার রয়েছে।
৪. কাউন্সেলিং ও থেরাপি
- সাইকোথেরাপি (CBT বা Cognitive Behavioral Therapy) আসক্তির মূল কারণ ও আচরণ পরিবর্তনে সহায়তা করে।
- গ্রুপ থেরাপিও অনেক কার্যকর (যেমন: Narcotics Anonymous)।
৫. জীবনধারা পরিবর্তন
- শরীরচর্চা, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও পর্যাপ্ত ঘুম মাদক ছাড়ার প্রক্রিয়াকে সহায়তা করে।
- নতুন দক্ষতা শেখা বা নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ জীবনকে অর্থবহ করে তুলতে সাহায্য করে।
৬. ট্রিগার বা প্রলোভন এড়ানো
- যেসব বন্ধু, জায়গা বা পরিস্থিতি মাদক ব্যবহারে উৎসাহিত করে, তা এড়িয়ে চলা উচিত।
৭. ধৈর্য ও সময় দেওয়া
- মাদকাসক্তি থেকে বেরিয়ে আসতে সময় লাগে। relapses (পুনরায় আসক্ত হওয়া) ঘটতেই পারে — এতে হতাশ না হয়ে আবার চেষ্টা করা উচিত।