মাদকাসক্তি নিরাময়ে প্রয়োজন সর্বস্তরের সচেতনতা।

মাদকাসক্তি নিরাময়ে প্রয়োজন সর্বস্তরের সচেতনতা।

বাংলাদেশে মাদকাসক্তি সমস্যা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত এবং বর্তমানে এটি প্রকট আকার ধারণ করেছে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, মাদকসেবীদের শতকরা ৮৫ ভাগই তরুণ যুবসমাজ যাদের মধ্যে শতকরা ৬০ ভাগ বিভিন্ন অপরাধ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত। বর্তমানে বাংলাদেশের বড় অংশের জনগোষ্ঠী কিশোর-তরুণ। তাই, মাদকের নেশায় বুঁদ হয়ে আমাদের তরুণ প্রজন্মের বিপথগামীতা বর্তমান সময়ে বিশাল বড় একটি চ্যালেঞ্জ। মাদকাসক্ত কিশোরগ্যাংরা হত্যা, খুন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজি, ছিনতাই ইত্যাদির মাধ্যমে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে।

ধূমপান, মাদকদ্রব্য ও তামাক সেবন মানুষের অকালমৃত্যু এবং স্বাস্থ্যহানির অন্যতম প্রধান কারণ। ধূমপানে অভ্যস্ততার মধ্য দিয়ে তরুণরা মাদকদ্রব্য সেবন শুরু করে থাকে। পরবর্তীকালে গাঁজা, ইয়াবা, ফেনসিডিল, হেরোইন, কোকেন, আফিম, কোডিন, মরফিন, এলএসডিসহ বিভিন্ন মরণনেশায় আসক্ত হয়। ক্রমান্বয়ে মাদকাসক্তরা কিডনি, লিভার, মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কাজকর্ম নষ্ট হয়ে যাওয়ার মতো জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন তথ্য বলছে, গত ১০ বছরে মাদকাসক্ত সন্তানের হাতে প্রায় দুই শতাধিক বাবা-মা খুন হয়েছেন। এছাড়াও স্বামী হত্যা করেছে স্ত্রীকে, স্ত্রী হত্যা করেছে স্বামীকে। খুন, রাহাজানি, ধর্ষণ, পরকীয়া প্রেম, দাম্পত্য কলহ, হত্যা, সন্ত্রাসী কার্যক্রম সবকিছুর মূলেই রয়েছে এই মাদকের নেশা।

এমন উদ্বেগজনক পরিস্থিতি মোকাবিলায় এ্যাডিকশন ম্যানেজমেন্ট সেন্টার (এ এম সি) তে— মাদকাসক্ত রোগীদের প্রয়োজন অনুসারে অত্যন্ত মনোরম পরিবেশে স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসার সুব্যবস্থা রয়েছে।

Related Post

মাদকাসক্তির চিকিৎসার মূল উদ্দেশ্য ও পদ্ধতি
মাদক কে না বলুন
মাদকাসক্তির প্রভাব
মাদকাসক্ত নিয়ে একটি ছোট গল্প দিলাম, সাথে আমি একটি প্রতীকী .
মাদক সেবনকারী একজন ব্যক্তির জীবন কেমন হতে পারে।
আপনার আপনজন মাদকাসক্ত কি না কিভাবে বুজবেন?