বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মাদক !

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মাদক !

বাংলাদেশে দিন দিন মাদকের ব্যবহার উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। বর্তমানে দেশের এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে মাদকের কেনাবেচা হয় না। শহর থেকে শুরু করে গ্রামেও এটি সহজলভ্য। ভয়ানক নেশা জাতীয় দ্রব্য সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়িয়ে গেছে। বাংলাদেশের যুবসমাজের দিনদিন মাদকের প্রতি আসক্ত হওয়ার প্রবণতা বেড়েই চলেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় তো বটেই এমনকি স্কুল ও কলেজেও মাদক পৌঁছে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোকে আজ মাদক গ্রাস করে ফেলেছে। সমাজের বিভিন্ন স্তরে মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান চললেও অভিযান চালানো হয় না বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিরাপদে মাদক গ্রহণের আশ্রয়স্থল হিসেবে পরিণত হচ্ছে। অনেক বহিরাগত নিরাপদে মাদক সেবনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে  ভিড় করে। ক্যাম্পাসে অবাধে মাদকের বিচরণ সাধারণ শিক্ষার্থীকে মাদক সেবনের প্রতি প্রভাবিত করে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় মাদকের বিস্তার রোধ করতে হলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে উল্লেখযোগ্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। প্রয়োজনে প্রতিটি হলে পরামর্শদাতা নিয়োগ দিতে হবে এবং প্রতিবছর ভর্তি প্রক্রিয়ায় ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনাকালীন কয়েক দফায় এ ডোপ টেস্ট হতে পারে।

মাদকের দংশন থেকে যুব সমাজকে বাঁচাতে হলে গড়ে তুলতে হবে পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতা। পিতামাতা, অভিভাবক, জনপ্রতিনিধিসহ সমাজের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ এগিয়ে আসবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা। স্কুল- কলেজে সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি মাদকের ভয়াবহ  কুফল সম্পর্কে শিক্ষাদান করতে হবে। দেশে মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়াতে হবে এবং সর্বোপরি মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে আমাদের সকলকে সচেতন হতে হবে।

Related Post

মাদক সেবনকারী একজন ব্যক্তির জীবন কেমন হতে পারে।
আপনার আপনজন মাদকাসক্ত কি না কিভাবে বুজবেন?
মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া এবং এর জন্য ধৈর্য, সহানুভূতি এবং সঠিক দিকনির্দেশনার প্রয়োজন। নিচে মাদকাসক্তদের চিকিৎসা সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস দেওয়া হলো:
মাদক কে না বলুন
✅ মাদকাসক্তি প্রতিরোধে সচেতনতামূলক টিপস:
নিচে মাদকাসক্তি নিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত গল্প দেওয়া হলো: