চাই ধূমপানমুক্ত একটি  সুন্দর  বাংলাদেশ।

চাই ধূমপানমুক্ত একটি  সুন্দর  বাংলাদেশ।

ধূমপান হচ্ছে একটি মারাত্মক বদভ্যাস। সমাজে এর প্রভাব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আজকাল বিভিন্ন বয়সের মানুষকে দেখা যায় ধূমপান করতে। সিগারেটে প্রায় ৭০টির বেশি রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে যা মানব শরীরে ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে। সিগারেটের প্রধান উপকরণ হলো তামাক যাতে রয়েছে নিকোটিন। নিকটিন এক প্রকার বিষ। তামাকের এই নিকোটিন নামক উপাদানটিই মূলতঃ আসক্তি সৃষ্টির জন্য দায়ী। ধূমপান করলে নিকোটিন শারীরিক ও মানসিক নির্ভরশীলতা তৈরি করে।

অধিকাংশ ধূমপায়ী পাবলিক প্লেসসহ নানান জায়গায় যত্রতত্র ধূমপান করে চলছে যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। অসতর্কভাবে আগুনসহ বিড়ি, সিগারেট এর উচ্ছিষ্ট অংশ ফেলে রাখলে অগ্নিকান্ডের মতো ভয়াবহ ঘটনাও ঘটতে পারে। ধূমপানের ধোঁয়ায় কার্বন মনোক্সাইড তৈরি হয় যা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মানুষের মারাত্মক ক্ষতি করে থাকে। ধূমপানের ফলে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক ও বিভিন্ন রকম ক্যান্সার (বিশেষত ফুসফুসের ও মুখগহ্বরের ক্যান্সার) এর ঝুঁকি বহুগুণ বাড়ায়। তামাক উচ্চ রক্তচাপ সৃষ্টি করে। এছাড়াও এটি মাতৃগর্ভে ভ্রুণের ক্ষতি করে থাকে।

আমাদের মতো অনুন্নত দেশগুলোতে যে সিগারেট বিক্রয় করা হয় তাতে তামাকজাত উপাদান অনেক বেশি থাকে। ফলে আমাদের দেশে ধূমপানজনিত রোগসমূহ অনেক বেশি হয়ে থাকে। তাই এই বিষয়ে সকলের সচেতনতাই উপহার দিতে পারে  ধূমপানমুক্ত একটি  সুন্দর  বাংলাদেশ।

Related Post

মাদক সেবনকারী একজন ব্যক্তির জীবন কেমন হতে পারে।
আপনার আপনজন মাদকাসক্ত কি না কিভাবে বুজবেন?
মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া এবং এর জন্য ধৈর্য, সহানুভূতি এবং সঠিক দিকনির্দেশনার প্রয়োজন। নিচে মাদকাসক্তদের চিকিৎসা সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস দেওয়া হলো:
মাদক কে না বলুন
✅ মাদকাসক্তি প্রতিরোধে সচেতনতামূলক টিপস:
নিচে মাদকাসক্তি নিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত গল্প দেওয়া হলো: